দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য কোনো প্যানেল বা অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হয় না। শূন্যপদের বিপরীতে সবসময় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগ দেওয়া হয়। ফলে কথিত প্যানেল থেকে নিয়োগের নামে আর্থিক লেনদেন না করার জন্য সতর্ক করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব আকরাম-আল হোসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মাঠ পর্যায়ে তথাকথিত প্যানেল হতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কথা বলে নিরীহ প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে সরকারের নজরে এসেছে।
২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেই বছরের ৩০ আগস্ট আবেদন শেষ হলেও গত বছরের জুনে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে আরো বলা হয়, ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোনো প্যানেল করার বিষয়ে উল্লেখ ছিল না বলে প্যানেল বা অপেক্ষমাণ তালিকা করা হয়নি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ একটি রুটিন প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে পদ শূন্য হবে বিবেচনা করে প্যানেল করার কোনো সুযোগ নেই।’
লেনদেনের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘এই প্রেক্ষাপটে প্যানেল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে বিভ্রান্ত করে স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচণায় কোনো ধরনের অর্থ না পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’
সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সরকারি বিধি-বিধান অনুসারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। এতে কোনো ধরনের অর্থ লেনদেন করার সুযোগ নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে।
পাঠকের মতামত: